লঘুচাপের প্রভাব কেটে গেলেও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব জায়গায় মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার দুপুর পর্যন্ত এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে, তবে বৃহস্পতিবার থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টির প্রবণতা কমবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ভোর থেকেই হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল ঢাকায়; বেলা বাড়তে বাড়তে তা মাঝারি বর্ষণের রূপ নেয়। টানা বৃষ্টিতে মহানগরের অনেক এলাকায় জলজটের সৃষ্টি হয়। তাতে বেড়েছে যানজট; সকালে রাস্তায় নেমে দুর্ভোগে পড়তে হয় অফিসযাত্রী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান বুধবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দিনভর বৃষ্টির এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে। কাল থেকে ধীরে ধীরে কমবে বৃষ্টির প্রবণতা।”
তিনি জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে দুদিন ধরে বৃষ্টি বেড়েছে সর্বত্র। নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়েছে, তবে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস।
পরিস্থিতির উন্নতি হলে বুধবার বিকালে এ সতর্ক সংকেত নামিয়ে নেওয়ার আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর বগুড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।