স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রতিরক্ষার সামর্থ্যে কোনো ঘাটতি না থাকলেও মিয়ানমারসহ কোনো দেশের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না বাংলাদেশ।
মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বারবার গোলা এসে পড়ার মধ্যে বুধবার সচিবালয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর একথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বৈঠকে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধান ছাড়াও বিজিবি, কোস্ট গার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারের রাখাইনে সে দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সংগঠনের সংঘাতের মধ্যে গত অগাস্ট মাসের শেষ দিক থেকে বাংলাদেশের ভেতরে গোলা এসে পড়ার ঘটনা ঘটছে।
এতে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পর বান্দরবান সীমান্তের বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতকে ঢাকায় কয়েকদফা তলব করে প্রতিবাদ জানানো হলেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।
সরকার শুরু থেকেই বলে আসছে যে এই সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং যুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা বাংলাদেশের নেই।
বুধবার বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই অবস্থান স্পষ্ট করে সাংবাদিকদের বলেন, “এ সমস্ত ইস্যু আমাদের বিষয় না, এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের বিষয়ে আমরা ‘ইন্টারফেয়ার’ করি না।”
“সভা শেষে আমরা এ সিদ্ধান্তে এসেছি যে আমাদের জাতীয় পলিসি যেটা- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। আমরা সেখানে যুদ্ধকে কখনোই উৎসাহিত করি না। যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিও আমাদের এখানে আসেনি।”
তবে প্রতিরক্ষার সামর্থ্যে বাংলাদেশের কোনো ঘাটতি নেই দাবি করে তিনি বলেন, “সেনাবাহিনীসহ আমাদের সবাই জানিয়েছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকে। এখনও তারা প্রস্তুত আছেন।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, আমরা বীরের জাতি। যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর কোনো ঘাটতি থাকে না।
“আমরা ভয় করি না। তবে আমাদের কথা হল, আমরা যুদ্ধে জড়াব না।”
গুরুত্বপূর্ণ সবাইকে নিয়ে এই বৈঠকের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কথা বলছে মিয়ানমারের ঘটনা নিয়ে, এটা পর্যালোচনা করতে আজকের বৈঠক। এছাড়া পূজা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”
সীমান্তে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “মিয়ানমার সঙ্গে বর্ডার খুব টাইট করে দিয়েছি। কাউকে সীমান্ত দিয়ে আসা-যাওয়া করতে দেব না। মিয়ামারের কেউ বা আরাকান আর্মিও যাতে আমাদের সীমান্তে ঢুকতে না পারে, সেজন্য বিজিবি শক্ত অবস্থান নিয়ে রয়েছে।”