পুলিশ পরিচয়ে থানায় নেওয়ার কথা বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে নির্জন স্থানে নিয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুট করার অভিযোগ উঠেছে।খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, গত ২৫ অগাস্ট রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে তাকে তুরাগ থানার দিয়াবাড়ী এলাকায় নিয়ে ওই ব্যক্তি স্বর্ণের চেইন এবং কানের দুলসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। তার মোটরসাইকেলে ‘পুলিশ’ লেখা স্টিকার ছিল।
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ওই শিক্ষার্থী রাজধানীর তুরাগ থানায় মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা কিছু ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি।”
অপরাধী শনাক্তের চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে মোটরসাইকেলের নম্বরটা এখনও পুরোপুরি শনাক্ত করা যায়নি।”
মামলার এজহারে বলা হয়, ঘটনার দিন দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে কল্যাণপুর স্ট্যান্ডে নেমে রিকশায় ওঠেন। কল্যাণপুর শাহী মসজিদের সামনে পৌঁছানোর পর অপরিচিত একজন রিকশার গতিরোধ করেন।
ওই ছাত্রী বলেন, “নিজেকে পুলিশের লোক হিসেবে পরিচয় দেন ওই ব্যক্তি। এরপর আমার হাতে থাকা একটি ব্যাগের দিকে তাকিয়ে বলেন, এই ব্যাগে অবৈধ জিনিসপত্র রয়েছে। এখনই আপনাকে থানায় যেতে হবে।”
পরে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে দ্রুতগতিতে দিয়াবাড়ির নির্জন এলাকায় নিয়ে যান ওই ব্যক্তি।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে ছুরির ভয় দেখিয়ে ছাত্রীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন এবং কানের দুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন বলে ওই ছাত্রীর ভাষ্য।
এসময় স্থানীয় এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় অস্বাভাবিক আচরণ দেখে এগিয়ে আসেন। তখন পুলিশ পরিচয় দেওয়া লোকটি দ্রুত ব্যাগ এবং স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।
স্থানীয় ওই ব্যক্তি বিষয়টি তুরাগ থানা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশের একটি দল ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং পরদিন তুরাগ থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রী।
বিষয়টি জানতে ওই ছাত্রীকে ফোন করা হলে তার মা ফোন ধরেন। তিনি জানান, ওই শিক্ষার্থী এখনও স্বাভাবিক হতে পারেননি। তাই তিনি কথা বলতে পারবেন না। থানায় দায়ের করার অভিযোগই তাদের বক্তব্য।