রাঙামাটি থেকে রাজধানীগামী একটি কাঠ বোঝাই ট্রাকে দিন-দুপুরে অতর্কিতে মুহুর্মুহু গুলি চালিয়েছে অস্ত্রধারীরা; তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে রাঙামাটি শহরের অদূরে দেপ্প্যাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে কোতোয়ালী থানার ওসি আরিফুল আমিন জানান।
তিনি আরও বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলেছি। যতটুকু জেনেছি, গাড়িতে মোট ২৫ থেকে ৩০টি গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা।”
তবে ঠিক কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ ও ট্রাক পরিবহন শ্রমিকরা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ট্রাকটির চালক সাংবাদিকদের বলেন, রাঙামাটি থেকে কাঠ নিয়ে তিনি ঢাকা যাচ্ছিলেন। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হঠাৎ করেই পাহাড়ের আড়াল থেকে গুলি শুরু হয়।
“টানা ২৫ থেকে ৩০টি গুলি করেছে। পরে কয়েকজন অস্ত্রসহ সড়কের পাশ দিয়ে আর কয়েকজন গভীর বনের দিকে চলে যায়।”
রাঙামাটি ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “দিনের বেলার এভাবে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে সন্ত্রাসীরা ট্রাকে গুলি করে চলে গেল। তাহলে আমাদের শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? এভাবে চলতে থাকলে কোনো গাড়ি চালাব না আমরা।”
রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক শাওন ফরিদ বলেন, “আমার প্রায় তিন বছর ধরে কোনো গ্রুপকে চাঁদা দিচ্ছি না। বিভিন্ন দলের নামে আমাদের কাছে চাঁদা চায়, কিন্তু আমরা চাঁদা দিচ্ছি না কাউকে। এই কারণেই হয়তো আমাদের কাঠ পরিবহন করা ট্রাকে গুলি করা হয়েছে।
“বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি আমরা। আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই এবং স্বাভাবিক ব্যবসা করার নিশ্চয়তা চাই। এভাবে দিন-দুপুরে দেপ্প্যছড়ির মত জায়গায় যদি গুলি করে চলে যায় তাহলে তো এর নেতিবাচক প্রভাব পাহাড়ের ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন সবকিছুতেই পড়বে।”
রাঙামাটির কোতোয়ালী থানার ওসি আরিফুল আমিন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ আরও তদন্ত করবে। পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।”