Loading...
The Financial Express

পাকিস্তানের ঋণ নিয়ে সংশয়ে আইএমএফ

| Updated: February 02, 2023 13:01:27


পাকিস্তানের ঋণ নিয়ে সংশয়ে আইএমএফ

বেইলআউট কর্মসূচির দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত পর্যালোচনা শেষ করতে প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণে পাকিস্তান সরকারকে তাগাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, কঠোর অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত কার্যকরে বিরোধীদের বাধা সৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

মঙ্গলবার তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে ডন।

পাকিস্তান সফরে যাওয়া আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান নাথান পোর্টার ঋণখেলাপি হওয়া এড়াতে পাকিস্তানকে যে কঠিন সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেখানে বিরোধীদের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

পাকিস্তানের সঙ্গে ১০দিনের লম্বা আলোচনার উদ্বোধনী রাউন্ডেই তিনি তার এ উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন, জানিয়েছেন একাধিক সরকারি কর্মকর্তা।

আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার।

বেইলআউটের টাকা নিয়ে আলোচনা ফের শুরু করতে পাকিস্তানের সরকার যে অতিরিক্ত কর আরোপের পরিকল্পনা করছে, বিরোধীরা তাতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে আইএমএফর উদ্বেগ রয়েছে, নাথান এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

কর বাড়ানোর পাশাপাশি পাকিস্তানের সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছে।

দেশটির অর্থমন্ত্রী আইএমএফের মিশনকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, তার সরকার রাজনৈতিক আলোচনায় বিশ্বাসী।

সরকার এমনভাবে অতিরিক্ত কর আরোপ করতে চায় যেন অপ্রীতিকর আইনি ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ এড়ানো যায়, তিনি এমনটাই বলেছেন বলেও জানিয়েছে সূত্রগুলো।

পাকিস্তানের সরকার প্রেসিডেন্টের অধ্যাদেশের মাধ্যমে ওই বাড়তি কর আরোপের পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু তাতে আইএমফের উদ্বেগ থাকায় তারা এখন পার্লামেন্টে আইন প্রণয়ন করে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার পথে হাঁটছে। তবে এক্ষেত্রে নতুন কর কার্যকর হতে অন্তত ১৪ দিন লাগবে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আইএমএফের এই বেইলআউট কর্মসূচির পক্ষে থাকলেও অতীতে তাকে বিভিন্ন ইস্যুতে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সুবিধা অনুযায়ী মত বদলাতে দেখা গেছে।

ডন লিখেছে, খেলাপি হওয়া ঠেকাতে পাকিস্তানের এই মুহূর্তে যত দ্রুত সম্ভব আইএমএফের ছাতা দরকার, অবশ্য এরপরও তাকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।

দেশের অর্থনীতিকে পথচ্যুত করতে বিভিন্ন সময়ে ইমরান যেসব নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন আইএমএফের দলকে দার সেসব বিষয়েও অবহিত করেন।

আইএমএফের প্রতিনিধিদলের প্রধান বেইলআউট কর্মসূচির শর্ত পূরণে এখনও অনেক কাজ বাকি উল্লেখ করে শর্তগুলো পূরণে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দিয়েছেন।

“নবম পর্যালোচনা শেষ করতে আইএমএফ যে যে শর্ত দিয়েছিল, পাকিস্তান সরকারের সেগুলো পূরণ করতে পারবে বলে নাথান আস্থাশীল। বিভিন্ন খাতের সংস্কারের মাধ্যমে পাকিস্তানের অগ্রগতি বজায় থাকবে এবং তারা নিরি্দিষট সময়ের মধ্যে আই্এমএের কর্মসূচি শেষ করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদও ব্যক্ত করেন,” বলা হয়েছে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।

আইএমএফের এই বেইলআউট কর্মসূচি চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মোট সাড়ে ছয়শ কোটি ডলারের প্যাকেজের প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি ডলার এখনও ছাড় হয়নি।

Share if you like

Filter By Topic