নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কোনো ‘খেদ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন ২০১৭ সাল থেকে দেশটিকে নেতৃত্ব দেওয়া জেসিন্ডা অরডার্ন।
বৃহস্পতিবার তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত সমর্থকদের পাশাপাশি সমালোচকদেরও হতভম্ব করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তিন সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করছেন, এ ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে ‘দুঃখবোধ’ থেকে শুরু করে ‘স্বস্তি’সহ নানান অনুভূতি খেলা করছে, বলেছেন তিনি।
বিভিন্ন জনমত জরিপে অক্টোবরের নির্বাচনে জিতে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে তার দল লেবার পার্টিকে যে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে সে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
দলে তার স্থলাভিষিক্ত হতে যারা আগ্রহী, তাদের কাউকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেবেন না বলেও জানিয়েছেন অরডার্ন।
শুক্রবার নেপিয়ারের এক বিমানবন্দরের বাইরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “দীর্ঘ সময় পর আমি লম্বা সময় ঘুমিয়েছি।”
নারীবিদ্বেষ ঘটিত কিছুর কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত, অনেকের এমন ইঙ্গিতও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।
ঘোষণা অনুযায়ী, ৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ছাড়বেন অরডার্ন। আর লেবার পার্টির এমপিরা রোববার ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচন করবেন। তবে সেই ভোটে কেউ দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন না পেলে সিদ্ধান্ত চলে যাবে লেবার পার্টির সদস্যদের হাতে।
অবশ্য অরডার্নের ধারণা রোববারই উত্তরসূরী পেয়ে যাবেন তিনি।
এ তালিকায় বর্তমান শিক্ষা ও পুলিশ মন্ত্রী ক্রিস হপকিন্সই সবচেয়ে এগিয়ে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
২০২০ সালের নভেম্বরে কোভিড-১৯ বিষয়ক মন্ত্রী হওয়ার পর ৪৪ বছর বয়সী হপকিন্সই নিউ জিল্যান্ডে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার নেতৃত্বে ছিলেন।
এর বাইরে আছেন ৩৯ বছর বয়সী বিচারমন্ত্রী কিরি অ্যালান। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে নিউ জিল্যান্ড প্রথম মাউরি বংশোদ্ভূত এবং প্রকাশ্য নিজেকে সমকামি বলা কাউকে সরকার প্রধানের পদে পাবে।
অরডার্নের সম্ভাব্য উত্তরসূরীর তালিকায় পরিবহন ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ৪২ বছর বয়সী মাইকল উডও আছেন।