নারায়ণগঞ্জে ছেলেকে বেঁধে রেখে বাবাকে খুন করে ডাকাতি


এফই অনলাইন ডেস্ক | Published: February 01, 2023 13:47:28


নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছেলেকে বেঁধে রেখে বাবাকে খুন করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে ডাকাতরা।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এক বাড়িতে ঢুকে ছেলের হাত, পা বেঁধে, বৃদ্ধ বাবাকে খুন করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। à¦–বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাওলাবাজার এলাকায় আব্দুল হালিমের (৭২) বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতরা কীভাবে ওই বাসায় ঢুকল তা স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। বাড়িতে চারটি সিসি ক্যামেরা থাকলেও মেশিন থেকে হার্ডড্রাইভ খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ সে কারণে এ ঘটনাকে রহস্যজনক বলছেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক।

নিহত হালিমের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে৷ এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঘটনার বর্ণনায় নিহতের ছেলে মো. মাসুদ (৩৭) বলেন, পরিবারের অন্য সদস্যরা বেড়াতে যাওয়ায় রাতে বাসায় তারা বাবা-ছেলে ছিলেন। সাড়ে ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় তিন ব্যক্তি তার হাত, পা ও মুখ বেঁধে মারধর শুরু করেন। একটি কক্ষে তাকে রেখে পাশের কক্ষে তার বাবাকেও মারধর করা হয়৷ পরে ঘরে থাকা ২০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

“পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন আমার গোঙানি শুনে ঘরে ঢুকে আমার হাত, পা, চোখের বাঁধন খুলে দেয়৷ তখন গিয়ে দেখি বাবা নড়াচড়া করছেন না৷”

নিহতের ছোট মেয়ে নুরুন্নেছা বলেন, রাত আড়াইটার দিকে ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে ডাকাতির ঘটনা জানতে পেরে তিনি বাবার বাড়ি ফেরেন। বাড়ির সংস্কার কাজের জন্য গত মাসে ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা তোলা হয়েছিল বলে জানান তিনি৷

বাড়ির ভাড়াটিয়া মাহিনূর বেগম বলেন, রাত ২টার দিকে শব্দ পেয়ে ঘুম ভাঙলে তার স্বামীকে ডেকে তোলেন৷ পরে বাড়িওয়ালার ফ্ল্যাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে ঢোকেন৷ ঘরের দুটি দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে আটকানো ছিল৷

“বাইরের সিটকিনি খুলে দেখতে পাই গামছা দিয়ে বাড়িওয়ালার ছেলের হাত, পা ও মুখ বাঁধা। পাশের ঘরে গিয়ে বাড়িওয়ালা নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখি।”

জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই হুমায়ূন কবির বলেন, “বাইরে থেকে কেউ ঘরে কীভাবে ঢুকেছে তা ধারণা করা যাচ্ছে না৷ কারণ বাইরে থেকে ভেতরে ঢোকার কোনো আলামত প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি৷ বাড়িতে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও মেশিন থেকে হার্ডড্রাইভ খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷”

ঘটনাটি ‘রহস্যজনক’ মন্তব্য করে ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, “নিহতের এক ছেলে দুই মেয়ে। মেয়েরা স্বামীর বাড়ি থাকেন আর ছেলের পরিবারের সাথে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম নিজ বাড়িতে থাকেন। ঘটনার সময় ছেলে ও আব্দুল হালিম ছাড়া কেউ বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনাটি রহস্যজনক “

Share if you like