সরকারের বর্তমান মেয়াদের শেষ বছরের শুরুতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দিতে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তিনি ২৫ দফা নির্দেশনা দেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ, নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, বান্দরবানের ডিসি ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি বক্তব্য দেন উদ্বোধনী পর্বে।
এ বছর ডিসি সম্মেলনে ২৬টি অধিবেশন হবে। আর কার্য-অধিবেশন হবে ২০টি। সেগুলো হবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।
প্রথম দিন মঙ্গলবার ৭টি, বুধবার ৮টি এবং শেষ দিন বৃহস্পতিবার ১০টি অধিবেশন থাকবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গেও ভার্চুয়ালি সৌজন্য সাক্ষাতের সেশন থাকবে ডিসিদের।
সরকারের নীতিনির্ধারক এবং জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময়ের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিতে প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে এ বছর সম্মেলনে আলোচনার জন্য ২৪৫টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে; এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে।
এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় নিয়ে ডিসি সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন।
সম্মেলনের প্রথম দিন তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মুক্ত আলোচনা শেষে ছবি তুলবেন ডিসিরা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজেও তারা অংশ নেবেন।
ডিসিরা জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন এবং নৈশভোজে অংশ নেবেন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ভবনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের।
সম্মেলনের শেষ দিন বঙ্গবভনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষৎ করে ডিসিরা তার নির্দেশনা গ্রহণ করবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।