Loading...
The Financial Express

জাতিসংঘে কী বলবেন প্রধানমন্ত্রী? ধারণা দিলেন মোমেন

| Updated: September 23, 2022 20:06:16


জাতিসংঘে কী বলবেন প্রধানমন্ত্রী? ধারণা দিলেন মোমেন

বিশ্বে চলমান সংঘাত থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বহুপক্ষীয় যোগাযোগে জোর দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের। 

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে শুক্রবার বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবারের মত এবারও তিনি বক্তৃতা দেবেন বাংলায়। 

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে তার এবারে ভাষণে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব পাবে, সে বিষয়ে একটি ধারণা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কে এক ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর এবারের বক্তৃতায় প্রাধান্য পাবে।

“এইবারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দেবেন, সেটায় আমাদের একটি বড় ইস্যু হবে গিয়ে, এই মাল্টিল্যাটারালিজমে আমরা জোর দেব। আমরা শান্তির জন্য জোর দেব।

“আমরা বলব যে, যত ধরনের সংঘাত আছে সেই সংঘাত থেকে উত্তরণের বড় পথটা হচ্ছে আলাপ আলোচনা, শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান। নতুবা বিশ্বে একটা বিভীষিকাময়…।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শান্তি ও স্থিতিশীলতা, সে কথাই প্রধানমন্ত্রী এবার বিশ্ব নেতাদের মনে করিয়ে দেবেন। 

বহুপাক্ষিকতা, করোনাভাইরাস মহামারী, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টার পাশপাশি জলবায়ু বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য জাতিসংঘে তুলে ধরবেন বলে জানান মোমেন।

তিনি বলেন, “সব সময় আমরা বলে থাকি, আমাদের পৃথিবীকে বাঁচাতে হবে এবং এই পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্যে যে জিনিস দরকার- এক, যে গ্লোবাল টেমপারেচার মাস্ট নট এক্সিড…।

“পৃাথবীকে বাঁচানোর জন্যে যে প্যারিস এগ্রিমেন্ট হয়েছিল, বলেছিল প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন ডলার দেবে, এখনও এটার চেহারা দেখিনি। সেটার জন্য তাগাদা দেব। লাভ ক্ষতির কথা আমরা উচ্চারণ করব।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে যে সমস্যা হয়, তা সমাধানে সরকার তার সাধ্য মত চেষ্টা চালালেও বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে, যারা এই বিপদের জন্য দায়ী, তারা যেন জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দায়িত্বের ভাগ নেয়। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তেব্য সে কথাও তুলে আনবেন।

বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মহামারী ‘খুব ভালোভাবে’ মোকাবেলা করেছে এবং বাংলাদেশ এ দিক দিয়ে পৃথিবীতে সামনের সারিতে আছে, শেখ হাসিনার বক্তব্যে সে কথাও আসবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “কোভিড মহামারীর মধ্যে পার্টনারশিপটা ভালো কাজ করেছে। সেটাও আমরা তুলে ধরব।

“মহামারীর পরও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে এটার কথা এবং সেজন্য বাংলাদেশ কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সেটাও তুলে তিনি ধরবেন। বিভিন্ন রকম প্রণোদনা আমাদের দিতে হয়েছে। সেগুলোর কথাও আমরা সেখানে তুলে ধরব।”

বাংলাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে জমিসহ আওয়ামী লীগ সরকার ঘর করে দিচ্ছে, সে কথা প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে বলবেন।

মোমেন বলেন, “আমরা একটা আদর্শ সৃষ্টি করেছি ‍গৃহায়ণে। মানুষকে বাড়ি দিচ্ছি এবং একটা জীবন দিচ্ছি। এইটা আমরা একটা অত্যন্ত ভালো কাজ করেছি, সেটা আমরা পৃথিবীর কাছে তুলে ধরব।”

ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য এবং জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে দুই সপ্তাহের সফরে ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রথমে তিনি লন্ডনে যান। ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনে রানির শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিয়ে পরদিন পৌঁছান নিউ ইয়র্কে।

Share if you like

Filter By Topic