জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যার দায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ জঙ্গির ফাঁসির রায় হাই কোর্টে বহাল থাকবে কিনা জানা যাবে বুধবার।
তাদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আবেদন (ডেথ রেফারেন্স) এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য বুধবার দিন ঠিক করে দেয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আহসানউল্লাহ এবং এক পলাতক আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হাফিজুর রহমান খান।
সাত বছর আগে রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যার দায়ে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর গত ৪ সেপ্টেম্বর শুনানি শুরু করেছিল হাই কোর্ট।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর গুলি করে হত্যা করা হয় ৬৬ বছর বয়সি জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে।
ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় একই কায়দায় রংপুরে এই জাপানি নাগরিককে হত্যার ওই ঘটনা সে সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোড়ন তোলে।
এ মামলার অভিযোগপত্রে আট আসামির নাম থাকলেও তাদের দুজন আগেই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার রায় ঘোষণা করেন।
জেএমবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী (৩৩), ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ইছাহাক আলী (৩৪), লিটন মিয়া ওরফে রফিক (৩২), সাখাওয়াত হোসেন (৩০) এবং পলাতক আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লবের (২৪) ফাঁসির আদেশ আসে সেই রায়ে।
এরপর একই বছরের ৭ মার্চ নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স আসে হাই কোর্টে। পাশাপাশি আসামিদের পক্ষে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।
ওই ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি সোমবার শেষে রায়ের জন্য বুধবার দিন রেখেছে আদালত।