কলা গাছের আঁশ থেকে সুতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া যায় কিনা, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সেই প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, সরকারও বিষয়টি ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ বিবেচনায় নিয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
মন্ত্রী বলেন, “তারা (ডিসিরা) বলেছেন, আমাদের কলাগাছ থেকে সুতা উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া যায় কিনা। আমরা বলেছি, আমাদের দেশে প্রচুর কলা গাছ হয়। কলাগাছ থেকে সুতা করা যায়। আমরা এটা নিয়ে রিসার্চ প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলব। যদি সম্ভব হয় তাহলে তুলার বিকল্প আমরা কলাগাছের সুতাও কাজে লাগাব। তুলার বিকল্প হিসাবে কালাগাছের আঁশ কাজে লাগানো যাবে।”
পাটের ব্যবহার বাড়াতে সরকারের উদ্যোগগুলো নিয়েও ডিসি সম্মেলনে আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “এক সময় প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। পরে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে নির্দেশনা জারি করে পাট পণ্যের ব্যবহার বাড়িয়েছি। প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের ব্যাগের ব্যবহার শুরু হয়েছিল।
“কিন্তু ইদানিং ভারত থেকে প্রচুর চাল আমদানি করা হচ্ছে। সেসব চাল প্লাস্টিকের ব্যাগে আসে। এই সুযোগে দেশীয় চালগুলো তারা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে দিচ্ছে। আমরা বলেছি, কেবলমাত্র ভারতীয় চাল প্লাস্টিকের ব্যাগে থাকবে। দেশীয় চাল আগের মতই পাটের ব্যাগে বিক্রি করতে হবে।”
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলের ব্যবস্থাপনা হাতবদল হওয়ার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের পাওনা বুঝে পাওয়ার জন্য সহযোগিতা করেছেন। ৬০ হাজার শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
“আমাদের মিলগুলো মালিকানায় রেখে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৬টি মিলের ব্যবস্থাপনা খুঁজে পাওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছি। সেটা এখন প্রক্রিয়াধীন আছে। আজকে টেন্ডার ওপেন হবে, তখন বোঝা যাবে। আরও ১১টি মিলের ক্ষেত্রে আমরা টেন্ডার দিয়েছি। আগামী ২৫ তারিখ এগুলোর টেন্ডার হবে।”