জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন)’ বিল উত্থাপন করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ বিল উত্থাপন করেন।
সেটি পরীক্ষা করে পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠান স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী।
সংশোধিত এই বিলে বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরাসরি বাড়াতে বা কমাতে সরকারের ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইনের ধারায় সংশোধন আনা হয়। এরপর তার প্রয়োগও শুরু হয়ে গেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকেই সেটি উপস্থাপন করতে হয়। সে অনুযায়ী গত ৫ জানুয়ারি অধ্যাদেশটি সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এটি এখন বিল আকারে সংসদে উঠল।
আগের আইনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর ক্ষমতা ছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)। কমিশনের গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছিল।
এ সংশোধনীর কারণে বিইআরসির পাশাপাশি সরকার ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে।
২০০৩ সালের প্রণীত আইনের ৩৪ ধারায় সংশোধনের পাশাপাশি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
ওই ধারায় বলা হয়েছে, “এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালী কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এর উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারবে।”