গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেছে। আরেকটি বিশ্বকাপ দুয়ারে দাঁড়িয়ে। এখন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের উপলব্ধি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উন্নতির জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
এবারের বিশ্বকাপে তাই দলকে নিয়ে তেমন কোনো আশা নেই তার। বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থার প্রধান এখন তাকিয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ ধুঁকছে অনেক বছর ধরেই। ২০০৭ সালে এই সংস্করণের প্রথম বিশ্বকাপের পর থেকে বিশ্ব আসরের মূল পর্বে কোনো ম্যাচে ধরা দেয়নি জয়। এবারও যা বাস্তবতা, তাতে একটি জয়ের আশা করাও কঠিন।
সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে পরে কোনো রকমে পরের ধাপে পা রাখে দল। এরপর যথারীতি মূল পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় জয় ছাড়াই। বিশ্বকাপের পর দলের মানসিকতা, ধরনসহ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দর্শন, সবকিছু বদল নিয়ে কথা হয় অনেক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন তখন করেনি বিসিবি।
সেই বিশ্বকাপের পর এতদিনে এসে পরিবর্তনের তাগিদ অনুভব করছেন বিসিবি সভাপতি। মিরপুরে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, টি-টোয়েন্টির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল আনতে চান তারা।
“টি-টোয়েন্টি খেলাটা পুরোপুরি ভিন্ন। আমরা এই সংস্করণ অন্যান্য দেশের মতো এখনও বুঝে উঠতে পারছি না। আমাদের দল যদি ওয়ানডে ভালো খেলে, তাহলে টি-টোয়েন্টি কেন পারবে না! খেলোয়াড় তো একই, কোচিং স্টাফ একই, তাহলে হচ্ছে না কেন? আমরা তাই পরিবর্তন আনার চিন্তা করছি।”
বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আছে আর কেবল এক মাসের একটু বেশি। এই সময়ে এসে বড় পরিবর্তনের ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে বিসিবি সভাপতি পর্যাপ্ত সময়ই দেখছেন সামনে। এই বিশ্বকাপ ছাড়িয়ে তিনি যে ভাবছেন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে!
“একটা জিনিস আপনাদের বলতে পারি, এখন যা করছি, তা এই বিশ্বকাপের জন্য নয়। পরের বিশ্বকাপ টার্গেট নিয়ে করতে হবে। এমন কোনো কোচ নেই, এমন কোনো বোর্ড নেই রাতারাতি একটা দলকে ভালো করে দেবে। এতদিন যা হয়েছে তো হয়েছে। এখন আমরা দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করছি। এখন আমরা টার্গেট করেছি পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।”
“এটার জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে, ওঠা-নামা হবে। এসব পরের ব্যাপার। তবে আমরা তা মেনে নিতে তৈরি। ওটা যদি খারাপও হয়, আমরা হতাশ হব না। আমরা চাই, ভালো করুক। তবে ৬-৭ মাস পরে যেন আমাদের একটা ভালো দল দাঁড়িয়ে যায়, অন্তত ১ বছরের মধ্যে ভালো ও শক্তিশালী দল যেন পাই, এটাই লক্ষ্য। সবসময় এটা আপনাদের বুঝতে হবে যে আমাদের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ, এবারেরটি নয়।”