আদালতের নির্দেশে ৫ লাখ টাকা পেলেন জাহালম


FE Team | Published: September 01, 2022 20:48:38 | Updated: September 02, 2022 17:59:51


আদালতের নির্দেশে ৫ লাখ টাকা পেলেন জাহালম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন বছর জেল খাটার ঘটনায় নিরপরাধ পাটকলকর্মী জাহালমকে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।

আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে জাহালমের হাতে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। à¦–বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

সুপ্রিম কোর্টে ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানের চেম্বারে জাহালমের কাছে চেক হস্তান্তর সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।

অমিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান জাহালমকে পাঁচ লাখ টাকার পে-অর্ডার হস্তান্তর করেছেন। এ সময় জাহালমের বড় ভাই শাহানুর তার সঙ্গে ছিলেন।”

এর আগে গত সোমবার সাত দিনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হাই কোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন (লিভ টু আপিল) আগামী ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন রেখেছে চেম্বার আদালত।

এর আগে গত ২৫ অগাস্ট হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে ব্র্যাক ব্যাংক।

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না...’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।

পরে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করে হাই কোর্ট বেঞ্চ। সেইসঙ্গে রুলও জারি করা হয়।

একই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজির হলে হাই কোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন এবং দুদকের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চায়। আদেশ অনুসারে দুদক হলফনামা করে ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়।

পরে জাহালম প্রশ্নে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ৩৩ মামলার এফ আই আর, চার্জশিট, সম্পূরক চার্জশিট এবং সব ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেয় আদালত।

পরে ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল হাই কোর্ট আরেকটি আদেশ দেয়। জাহালম কাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য দুদকের কাছে ফের প্রতিবেদন চাওয়া হয়। এ আদেশে দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক আদালতে প্রতিবেদন দেয়।

এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি শেষ হলে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় দেয় হাই কোর্ট। রায়ে ব্র্যাক ব্যাংককে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। টাকা পরিশোধ করে এক সপ্তাহ পর রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

৮৮ পৃষ্ঠার ওই পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশিত হলে রায়টি স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করে ব্র্যাক ব্যাংক।

Share if you like