উজবেকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পর সপ্তাহ দুয়েক লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বেইজিংয়ের একটি প্রদর্শনীতে উপস্থিত হয়ে তার বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান ও তাকে গৃহবন্দি করার গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি তিনি সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষনেতাদের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি সমরখনে্দ গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফেরার পর তাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
এর মধ্যেই বেইজিংয়ের রাস্তায় সামরিক বাহিনীর বড় গাড়িবহরের সূত্রবিহীন ভিডিও এবং বহু ফ্লাইট বাতিলের খবরকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান এবং তাকে গৃহবন্দি করে রাখার ভিত্তিহীন গুঞ্জন ডালপালা মেলে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, স্থবির অর্থনীতি, কোভিড-১৯ মহামারী, বিরল জনবিক্ষোভ, পশ্চিমের সঙ্গে টানাপোড়েন পোক্ত হওয়া এবং তাইওয়ান ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেও শি অক্টোবর চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) কংগ্রেসে তার তৃতীয় মেয়াদে শীর্ষ নেতৃত্ব পাওয়ার পথ পরিষ্কার করেই রেখেছেন।
দশককাল আগে সিসিপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই তিনি দলে ভিন্নমত চর্চার জায়গাকে সঙ্কুচিত করে দিয়ে নিজের অবস্থানকে সুসংহত করে আসছেন বলে অভিযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্ব ব্যবস্থায় বিকল্প নেতা হয়ে উঠতে বিশ্বমঞ্চে দিন দিন আরও আগ্রাসী অবস্থানও নিচ্ছেন তিনি।
২০১৮ সালে দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকা যাবে না, এই বিধান তুলে দিয়ে নিজের ক্ষমতায় থাকার পথ কন্টকমুক্ত করেন তিনি। এর ওপর ভিত্তি করেই অক্টোবরের মাঝামাঝি হতে যাওয়া সিসিপির কংগ্রেস শি-র হাতেই ফের দলের দায়িত্বভার তুলে দিতে যাচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
রোববার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে যে দুই হাজার ৩০০ জনের নাম ছাপা হয়েছে, তাতেও শি আছেন। যা নিশ্চিত করছে, ৬৯ বছর বয়সী চীনের প্রেসিডেন্ট এখনও ক্ষমতায়, আছেন বহাল তবিয়তেই।