মিয়ানমারের জান্তা সরকারের আরো সদস্য এবং প্রথমবার দেশটির জ্বালানি খাতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা। রয়টার্সের বরাতে খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার ক্ষমতা দখলের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে জান্তা সরকারের উপর নতুন করে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এদিন দেশটির ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন, খনি কোম্পানি, জ্বালানি বিষয়ক কর্মকর্তা এবং সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) কর্মকর্তাদের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য এদিন মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
যুক্তরাষ্ট্র এমওজিই-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটা জান্তা সরকারের সর্বোচ্চ আয় করা মিয়ানমারের সরকারি প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন অনেক দিন ধরেই এমওজিই-র উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের তাগিদ দিয়ে আসছিল।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার এ বছর অগাস্ট মাসের মধ্যে দেশটিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত শুক্রবার তারা এ ঘোষণা দেয়। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে যোগ্য হতে রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে কঠোর শর্ত বেঁধে দিয়েছে তারা।
তারমধ্যে অন্যতম হলো রাজনীতিতে বৃহৎ আকারে সেনাসদস্যদের অন্তর্ভুক্তি। যাতে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই থাকে এবং বিরোধীরা সবসময় কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
তারা যেসব নিয়ম বেঁধে দিয়েছে তার সবই সাবেক জেনারেলদের নিয়ে গঠিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির পক্ষে গেছে। ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে এ দলটিকে ধরাশায়ী করে ক্ষমতায় গিয়েছিল সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি।