ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিনে কিছু সময়ের জন্য নিশ্চল থাকবে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ওই দিন বিভিন্ন ফ্লাইট বাতিলের পাশাপাশি বেশ কিছু ফ্লাইটের সময়সূচিতেও পরিবর্তনের খবর দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯৬ বছর বয়সে গত ৫ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার কফিন এখন রাখা হয়েছে ওয়েস্টমিনস্টার হলে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতার পর রানির কফিন লন্ডন থেকে উইন্ডসরের দিকে যাত্রা করবে। তাকে উইন্ডসর ক্যাসেলের মাঠে সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে শায়িত করা হবে।
এক বিবৃতিকে যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম বিমানবন্দর (হিথরো) কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, আগামী সোমবার রানির শেষ বিদায়ের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের সময় শব্দ দূষণ এড়াতে এবং লন্ডনের আকাশপথকে শান্ত রাখতে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, হিথরো চাইছে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের শেষ দুই মিনিটের নীরবতায় যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। এজন্য স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত এই আধা ঘণ্টা কোনো বিমান ওঠা-নামা করবে না।
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ইতোমধ্যেই কাছাকাছি দূরত্বের ৫০টি এবং চারটি ভার্জিন আটলান্টিক ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিনে তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে সংস্থার ফ্লাইটের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে রানির কফিন নিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হলে স্থানীয় সময় ১টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের মধ্যে মিনাবন্দরে কোনো ফ্লাইট নামবে না। এছাড়া উইন্ডসর ক্যাসেলের কাছে শোভাযাত্রা পৌঁছানোর পর স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ৫ মিনিট থেকে পরবর্তী এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যে কোনো বিমান রানওয়ে ছাড়বে না।
এছাড়াও রানিকে সমাধিস্থ করার সময় ফ্লাইটগুলোকে উইন্ডসর ক্যাসেলের চারপাশ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
হিথ্রো বিমানবন্দরে বেশ কিছু দোকানও ওইদিন বন্ধ থাকছে রানির সম্মানে।
রানির শেষকৃত্যানুষ্ঠানে আকাশপথকে শান্ত রাখতে কর্তৃপক্ষের নেওয়া এই উদ্যোগের প্রভাবে হাজারো যাত্রী জটিলতায় পড়তে যাচ্ছেন। এছাড়া বিমানবন্দরের কাজের উপর প্রভাব ফেলবে।
রানির মৃত্যুতে গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। যুক্তরাজ্যজুড়ে ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। শেষকৃত্যে বিশ্ব নেতাদের আগমন ঘিরে স্মরণকালের সবচেয়ে কঠোর নিরাপত্তার আয়োজন করছে লন্ডন পুলিশ।