রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক নারী সদস্য প্রার্থী; এ ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বাগমারা থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচার চালাতে যান ওই নারী। প্রচার শেষ করতে রাত হয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পথে বাহমিন গ্রামের মোড়ে পাঁচ ব্যক্তি তার গতি রোধ করেন এবং অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
ওই নারী প্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। বৃহস্পতিবার রাতে থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেন বলে জানান ওসি।
এরপর শুক্রবার রাতে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি হলেন- বাগমারার মাহাবুর রহমান (২৮), আকবর হোসেন (৩৫), সোহেল রানা (২৪), দুলাল হোসেন (২৫) ও ফজলুর রহমান (৪৮)।
‘ধর্ষণের শিকার’ ওই নারীর এক স্বজন জানান, বুধবার রাজশাহীতে মনোনয়নপত্র জমা দেন ওই নারী। ফেরার পথে মোহনপুর ও বাগমারা উপজেলার কয়েকজন ভোটারের বাড়িতে যান তিনি। এতে তার রাত হয়ে যায়। ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় অনেকটা ভেঙে পড়েছেন এই প্রার্থী। তবে প্রচার চালাতে গিয়ে যেহেতু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাই এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মাঠেই আছেন। ভোটারদের কাছ থেকে তিনি সাড়াও পাচ্ছেন।”
দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করায় পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, রাজশাহী জেলা পরিষদের ওই ওয়ার্ডে সাতজন নারী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।
তিনি আরও বলেন, “একজন নারী প্রার্থী প্রচারে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে শুনেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। তিনি আইনি সহযোগিতা পাচ্ছেন কি-না সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।”