কয়েক দফা তাপপ্রবাহ আর গরমে অস্বস্তিতে কেটেছে এবারের বর্ষা মওসুম; স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে অর্ধেক, যাকে গত চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন বলছেন আবহওয়াবিদরা।
এ পরিস্থিতিতে দেশে আমনের চারা রোপণে বিলম্ব হচ্ছে। বৃষ্টি কম হলেও সেচ দিয়ে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আশা প্রকাশ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এরইমধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মে, জুন ও জুলাই মাসে কয়েক দফা বন্যার পর আবারও দুর্যোগ দেখা দিলে তা বড় বিপত্তি তৈরি করতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল মান্নান বলেন, গত জুলাই মাসে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৭ দশমিক ৬ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৯৮১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪২ বছরের মধ্যে এটি জুলাইয়ের সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত।
অগাস্ট মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি চল্লিশ বছরের মধ্যে অগাস্টে তৃতীয় সর্বনিম্ন হতে পারে। ১৯৮৯ সালে অগাস্ট মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি ছিল।
“টানা এতদিন বৃষ্টিহীন থাকা খুবই বিরল। এতে কৃষি, জীববৈচিত্র্যসহ সবগুলো খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অস্বাভাবিক আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে নেতিবাচক প্রভাব তো থাকবেই।”
গত দুই মাসে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক দফা তাপপ্রবাহ ছিল। আগামী মাসখানেকের মধ্যে আবার বৃষ্টিপাত হলে তাও কতটা স্বাভাবিকভাবে হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এবার বর্ষা মওসুমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান বলেন, “প্রধানত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব রয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনে যেখানে আগে বৃষ্টিহীন ছিল সেখানে বৃষ্টিপাত বেড়েছে, আবার বৃষ্টিবহুল এলাকায় বৃষ্টি কমেছে তুলনামূকভাবে।
“বর্ষায় বৃষ্টি কমার পাশাপাশি তাপপ্রবাহও ছিল। বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মতো বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ওয়েদার সেটিংস চেইঞ্জের কারণে এ ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনাগুলো হচ্ছে।”