কয়েক দশক ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত অবসানে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি একথা বলেন।
পাশাপাশি ইরানের পারমাণবিক বোমা নির্মাণ বন্ধ করতে ‘যা কিছু করা দরকার’ ইসরায়েল তার সবকিছু করবে বলে ফের জানান তিনি।
বেশ কয়েক বছরের মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি নেতা ফিলিস্তিন প্রশ্নে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথা উল্লেখ করলেন। অগাস্টে ইসরায়েলে গিয়ে দীর্ঘ দিন সুপ্ত থাকা প্রস্তাবটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেনের ওই উক্তির প্রতিধ্বনি করে লাপিদ বলেন, “দুই জনগণের জন্য দুই রাষ্ট্রের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একটি চুক্তি ইসরায়েলের নিরাপত্তার, অর্থনীতি ও আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সঠিক হবে।”
এ ধরনের চুক্তি ইসরায়েলের জন্য হুমকি হবে না এমন শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের শর্তে হতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আগামী ১ নভেম্বর ইসরায়েলে সাধারণ নির্বাচন। তার দেড় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে লাপিদ ফিলিস্তিন প্রশ্নে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে কথা বললেন। আসন্ন নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ঘোরবিরোধী ডানপন্থি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফের ক্ষমতায় চলে আসতে পারেন।
ফিলিস্তিনিরা যেসব এলাকা নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে চায় সেই পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর ও গাজা ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে দখল করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলা শান্তি আলোচনা ২০১৪ সালে গতি হারায়।
ভাষণে লাপিদ ইরানের নিন্দা করে দীর্ঘ দিনের এ আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া থামাতে ইসরায়েলের দৃঢ় সংকল্পের কথা ফের উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া থামানোর একমাত্র পথ হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্য একটি সামরিক হুমকি তৈরি রাখা। আমাদের সামর্থ্য আছে আর সেগুলো ব্যবহার করতে আমরা ভীত নই।”
মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এই দেশটি ইরানকে তাদের অস্ত্বিত্বের জন্য হুমকি মনে করে। তবে তেহরান সবসময়ই দাবি করে আসছে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না।