প্রিয় সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে গোসলের সময় কিছু পন্থা অবলম্বন করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘গুড কেমিস্ট্রি’র ‘ফ্রেগনেন্স ডিরেক্টর’ গ্রেটা প্যাগেল বলেন, “সুগন্ধ ফিকে হয়ে যাওয়ার কারণের মধ্যে রয়েছে সুগন্ধির ধরন, গঠন, শরীরের তাপমাত্রা, আশপাশের পরিবেশ, নাকের আর্দ্রতা ইত্যাদি।” খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও জানান, ‘অ্যাম্বার’, ‘ভ্যানিলা’, ‘মাস্ক’ এই ধরনের সুগন্ধিগুলো গঠনগত কারণেই দীর্ঘসময় স্থায়ী হয়। ‘ইউ দে পারফুমস’য়ের তুলনায় ‘ইউ দে তয়লেতস’ বেশিসময় স্থায়ী হয়।
তবে আবহাওয়াও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘লাক্সারি লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার’ এবং ‘ফরেভার মুড’য়ের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাকি আইনা সুগন্ধি স্থায়ী করার কিছু উপায় জানিয়েছেন একই প্রতিবেদনে।
বডি ওয়াশ বা সাবানের সুবাস
যে সুগন্ধি ব্যবহার করবেন তার সুবাস আর গোসলের সময় ব্যবহার করা সাবান কিংবা বডি ওয়াশ’য়ের সুবাস একই ধাঁচের হওয়া উচিত। এতে সুগন্ধির জন্য ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে প্রসাধনীর সুবাস। আবার গোসলের পর সাজসজ্জায় যেসব প্রসাধনীয় ব্যবহার করা হয় সেগুলোর সুবাসও যদি একই ধাঁচের হয় সেটাও সুগন্ধির সুবাসকে দীর্ঘস্থায়ী করবে।
একই ধাঁচের সুবাস সমৃদ্ধ লোশন
সুগন্ধির বিভিন্ন স্তর দারুণ হবে যদি সাবানের পর লোশন আর সুগন্ধি দুইয়ের সুবাস একই ধরনের হয়।
ধরা যাক, গোলাপের সুবাস সমৃদ্ধ সুগন্ধি আজকে মাখবেন বলে ঠিক করেছেন, সেক্ষেত্রে গোসলের সাবান বা বডি ওয়াশ এবং গোসলের পর গায়ে মাখা লোশন সবই যদি গোলাপের নির্যাস সমৃদ্ধ হয় তবে সুগন্ধি হবে শক্তিশালী।
লোশন মাখতে হবে আলতো ভেজা ত্বকে। এতে ত্বকের গভীরে লোশন পৌঁছাবে দ্রুত। ফলে সুগন্ধীও হবে দীর্ঘস্থায়ী।
সুগন্ধি মাখতে হবে ‘পালস পয়েন্ট’য়ে
শরীরের যেসব অংশে ত্বকের ঠিক নিচে দিয়ে ধমনী গেছে সেটাই হল ‘পালস পয়েন্ট’। ঘাড়ের গোড়া, কব্জি, কনুই ও হাঁটুর ভাঁজ, কানের পেছন দিক ইত্যাদি হল ‘পালস পয়েন্ট’। এই অংশগুলোতে সুগন্ধি প্রয়োগ করলে সুবাস লম্বা সময় স্থায়ী হয়।
শরীরের এই ‘পালস পয়েন্ট’গুলো সবসময়ই উষ্ণ থাকে। ফলে এখান থেকে সুগন্ধ ছড়ায় ভালো এবং তার মাত্রা হয় মিষ্টি।
সুগন্ধি আটকে রাখা
দিনভর সুবাস ধরে রাখতে চাইলে সুগন্ধির ওপর ব্যবহার করতে হবে ‘ময়েশ্চারাইজার’। এতে সুগন্ধি ত্বক আর ‘ময়েশ্চারাইজার’য়ের মাঝে আটকে থাকবে, হবে দীর্ঘস্থায়ী।
অর্থাৎ লোশন মাখতে হবে দুবার। প্রথমে ভেজা ত্বকের লোশন মেখে, তার ওপর সুগন্ধি প্রয়োগ করে ওই স্থানে আবার লোশন মেখে নিতে হবে।
সুগন্ধির শেষ ছোঁয়া
লোশন, সুগন্ধি, লোশন, এই তিন স্তর শেষে পুরো শরীরে কিংবা শুধু ‘পালস পয়েন্ট’গুলোতো আরেকটু করে সুগন্ধি মাখিয়ে নিতে পারেন। এতে সুগন্ধির সুবাস আরেকটু তীক্ষ্ণ হবে। কাপড়েও মাখতে পারেন, চুলেও দেওয়া যেতে পারে।