চলন্ত গাড়ির পেছনের আসনে বসে একটি ভিডিও করার সময় সিটবেল্ট না বাঁধায় প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে জরিমানা করেছে ব্রিটিশ পুলিশ।
বৃহস্পতিবার উত্তর ইংল্যান্ডে এক সফরে থাকাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার জন্য একটি ভিডিও করেন সুনাক। এ সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ল্যাংকাশায়ারে ছিলেন। তখনই ভিডিওটি আপলোড করেন তিনি।
এর পরদিন শুক্রবার ল্যাংকাশায়ার পুলিশ জানায়, তারা লন্ডন থেকে আসা ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে শর্তসাপেক্ষে নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্য ব্যবহারকারীরা ব্যাপকভাবে শেয়ার করেন এবং সুনাক যে সিল্টবেল্ট বাঁধেননি তা লক্ষ্য করেন তারা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ওই দিনই ল্যাংকাশায়ার পুলিশ জানিয়েছিল, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে। পরে শুক্রবার রাতে তারা নিশ্চিত করে, ওই ঘটনায় একটি জরিমানা করা হয়েছে।
ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনার চেষ্টারত সুনাকের জন্য এ ঘটনা নিঃসন্দেহে বিব্রতকর।
এর আগে গত বছর কোভিড-১৯ লকডাউনের বিধি ভঙ্গ করার দায়ে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ সুনাককে জরিমানা করেছিল পুলিশ। জনসনের পর এভাবে আইন ভাঙা দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হলেন সুনাক।
২০২৫ এর জানুয়ারিতে পরবর্তী নির্বাচনের আগে মতামত জরিপগুলোতে বিরোধী লেবার পার্টির চেয়ে পিছিয়ে আছে সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। এ পরিস্থিতিতে এই জরিমানা তার জন্য আরেকটি ধাক্কা।
সুনাকের ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের দপ্তরের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এটা একটা ভুল ছিল, প্রধানমন্ত্রী এটি পুরোপুরি মেনে নিয়েছেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।”
ওই ভিডিওতে সুনাক আঞ্চলিক বৈষম্য কমাতে তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেছিলেন।
ব্রিটেনে কোনো ব্যক্তি সিটবেল্ট বাঁধতে ব্যর্থ হলে যদি আইন অনুযায়ী ছাড় না থাকে (জরুরি পরিষেবা ইত্যাদির জন্য) তাহলে তার সর্বোচ্চ ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
লেবার আইনপ্রণেতা ক্যাট স্মিথ টুইটারে লিখেছেন, “সারা বছর ধরে সড়কের নিরাপত্তা প্রচারের জন্য আপনারা যা করেন তার জন্য ধন্যবাদ ল্যাংকাশায়ার পুলিশ। এছাড়া কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় এটি আমাদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যও (ধন্যবাদ) ।”