চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু করার পরিকল্পনা সাজিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, "এসএসসি পরীক্ষার রুটিন আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু হবে।"
মহামারীর আগে দেশে ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হত। করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে সাত মাস পিছিয়ে ২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিলে নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল সরকার। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
শিখন ঘাটতি থাকায় ২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিষয়, সিলেবাস, নম্বর ও পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনা হয়। ফল প্রকাশ করা হয় ২৮ নভেম্বর। মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ২০২৩ সালে সব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে রেখেছে সরকার।
স্বাভাবিক অবস্থায় এসএসসিতে ৩১৬ ও এইচএসসিতে ৩৩০ কর্মদিবসের ক্লাস পায় শিক্ষার্থীরা। মহামারীর কারণে ২০২১ সালে শিক্ষার্থীরা ৮ মাসের বেশি সময় ক্লাসের বাইরে ছিল। সে কারণে সব বিষয়ে পরীক্ষা হলেও এই শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ১২ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, ২০২২ সালের মত ২০২৩ সালের এসএসসি ১৫০ কর্মদিবসের এবং এইচএসসি ১৮০ কর্মদিবসের পরিমার্জিত পাঠ্যসূচি অনুসারে হবে।
পরে ওই বছরের ১২ মে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টায়, কেবল মাধ্যমিকের আইসিটি বিষয়ের নম্বর থাকবে ৫০।
২০২৪ সালে পরীক্ষা প্রক্রিয়া পুরো স্বাভাবিক হওয়ার আশা প্রকাশ করে এই কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার বলেন, “জানুয়ারি থেকে পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। তাই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস আর থাকছে না। ২০২৪ সাল থেকে পূর্ণ সিলেবাসেই পরীক্ষা হবে।"
এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখের মত শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। তবে সংখ্যাটি এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।
তপন কুমার সরকার বলেন, "পরীক্ষা এগিয়ে এলে মোট হিসাব জানা যাবে৷"
প্রশ্নফাঁস রোধ ও শৃঙ্খলার মধ্যে পরীক্ষা নিতে বরাবরের মতোই ব্যবস্থা থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।