Loading...
The Financial Express

অর্থ আত্মসাত: সাবেক সেনা কর্মকর্তার ১২ বছর কারাদণ্ড

| Updated: September 20, 2022 11:08:07


ফাইল ছবি (সংগৃহীত) ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

সমবায় ব্যবসার নামে ৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক এক সেনা কর্মকর্তাকে ১২ বছর এবং অপর আসামিকে ৬ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. বদরুল আলম ভুইঞা এ রায় দেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, রায়ে ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদকে ১২ বছর জেল দিয়েছে আদালত।

অপর আসামি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সনাতনকাঠি গ্রামের বাসিন্দা শেখ সামসুর রহমানকে দেওয়া হয় ৬ বছরের কারাদণ্ড। তাদের প্রত্যেককে ৬ কোটি টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।

রায়ের সময় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন পলাতক ছিলেন। আট বছর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের করা এ মামলায় ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যসহ মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি জালাল উদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী সহসভাপতি আলেয়া ফাতেমা, ছেলে সাধারণ সম্পাদক তালহা আহমেদ এবং মেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাদিয়া আহমেদকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সেনাবাহিনী থেকে ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন জালাল উদ্দিন আহমেদ।

পরে তিনি ও তার স্ত্রী আলেয়া ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় ব্যবসা শুরু করেন।

জালাল উদ্দিন গ্রাহকদের আশ্বাস দেন, ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অনুকূলে স্থায়ী আমানতপত্রের (এফডিআর) মাধ্যমে টাকা রাখলে কেউ কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

এজাহারে বলা হয়, তিনি ১ হাজার ৪৪৯ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে মোট ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ টাকা ওই মাল্টিপারপাসের নামে রশিদের মাধ্যমে জমা নেন।

কিন্তু ওই সোসাইটির ব্যাংক হিসেবে কোনো অর্থ জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছেলে ও মেয়ের কাছে ওই অর্থপাচার করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

তদন্তে জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। অপরদিকে শেখ সামসুর রহমানকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়।

পরবর্তীতে আদালত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানদের অব্যাহতি দিয়ে মামলার বিচার শুরু করে।

Share if you like

Filter By Topic